নামহীন
নামহীন
একটি কালো গোলাপ,
সোনালি বিকেলগুলোতে আশ্বিনের বাতাসের মতো নিরবে ঘ্রাণ ছড়ায়।
কত দুঃখ, দুপুরের শান্ত জলে হাস হয়ে ভেসে যায়,
কৃষ্ণচূড়ার তলায় দাঁড়িয়ে জীবনের মৌচাক থেকে মধু আহরণ করে
একটা শামুকের হেঁটে যাওয়া দেখি আমি।
শিশিরের স্মৃতিকণারা পড়ে থাকে ঘাসের আড়ালে,
কতদিন এমন স্পর্শ করিনি সরিষাফুলের মতো ঘুম থেকে খসে পড়া তোমার চোখ।
একদল ধূসর ইদুর, পৌষের শেষ রাতে মিলিয়ে যায় শব্দহীন নিদ্রায়,
ক্ষুধার্ত আমি, কিছু প্রজাপতি আমার তৃষ্ণা গিলে খায়।
শব্দ হয়, অসময়ে রৌদ্রে কি পরিচয়? আলো নাকি উষ্ণতা? নাকি অন্ধকার স্যাঁতসেঁতে সাদা তুলোর মধ্যে মরে যাওয়া বৃক্ষকে প্রাণদান করা অলীক কিছু?
ভর সন্ধ্যায় আমি কিছু খরগোশকে স্পর্শ করতে পারিনি বলে এখনো ভোরের শেষ অন্ধকার আমার ভিতের দুঃখ জাগায়।
দেয়াল ঘরের অলস ঘড়ি নীল ডানার ওম পেলে, কেপে কেপে ওঠে।
শব্দের মধ্যেই কি আমার জীবনের বসন্ত নামে?
সকালের- মগ থেকে গরম কফির ধোয়া ওড়ার আগেই চিলেকোঠার কাছে বিক্রি করি আমার নগ্ন শরীর।
মেঘ জানে বৃষ্টি হলে ভেঙে যায় শহরের সকল শালিকের ডানা গুলো। নীল রক্ত বের হয় শহরের বুক চিড়ে। তবুও চিঠিগুলোর শব্দ মরণ অসুখের মতো ভিতর কাপিয়ে দেয়।
এতো নয় একটু সুখ, হারানো দরজার খোঁজে একঝাক বকের ঠোট কেটে দিয়েছিলাম। ফড়িং এর পাখা নাকি ভেঙে যাবে তাই চাঁদ বিলিয়েছে তার ম্রিয়মাণ আলো।
কিন্তু তুমিতো,
রবিবারের সন্ধ্যাকে বলোনি 'ভালোবাসি'।
নামহীন || নিহাব
একটা existential crisis এ ভোগা মানুষ যে self satisfaction এর জন্য কাগজে কিছু শব্দ জোড়া লাগিয়ে বাক্য তৈরি করে, বিষণ্ণ-করুণ-হতাশ-নিরেট শূন্যের মতো সব বাক্য। নাম নিহাব । বয়স বেশি নয় তবে ২৫ সালকে ছুতে আরো ২ বছর লাগবে ।