দেনা-পাওনার হিসাব
একটা ভ্রান্তি ঝড়ো হাওয়ার ন্যায়
সবকিছু তছনছ করে দিলো নিমেষে!
কতো সুন্দর ছিলো মুহূর্তগুলো
বইয়ের তাঁকে থরে থরে
সাজানো বইয়ের মতো।
ধোঁয়া ওঠা চায়ের হালকা চুমুকের মতো করে,
কিছু সময় কেটে যেতো জম্পেশ গল্পে।
ভাবনায় থাকতো কতো রঙের মিশেল,
কল্পনায় রাঙা হতো ছবির ক্যানভাস।
অসীম আকাশে ভেসে থাকা
শুভ্র মেঘপুঞ্জের মতো,
তোমার-আমার বন্ধুত্ব ছিলো কতোই না নিবিড়।
নাব্য নদীর স্রোতধারার মতো
তোমার সাথে কাটতো সময়
মধুর আলাপনে।
কতো স্মৃতি আজ খেলা করে
ভাবনার দেয়ালে।
কিন্তু আচমকা কী এমন হলো ?
একটা সামান্য ভুলে
ছেদ ঘটলো বন্ধুত্বে!
তুমি বললে যেদিন ফোনে
আমার ক্রন্দন নাকি
তোমার কাছে উন্মাদের ন্যায় ঠেকে!
কীসের তরে তুমি আমায়
এমন করে বললে ?
যে তুমি আমার কষ্টে
কষ্ট পেতে ,সেই তুমি
আমায় বললে এ কথা অকপটে!
তুমি যেদিন বললে আমায়
কঠিনস্বরে ,আমার কথামালা
তোমার কাছে নাকি আবোল-তাবোল অর্থহীন!
কী অদ্ভুত! এতোটা বদল তোমার?
অথচ সেই তুমিই একদিন বলেছিলে
মধুর স্বরে ,আমার বাচনভঙ্গি তোমায় করে তৃপ্ত,
আমার কথা কবিতার মতো ছন্দময় ;
একটা ভুলের নিকষ আঁধারে
তুমি মোরে দূরে ঠেলে দিলে ?
অবমাননার কঠিন আঘাতে
গভীর ক্ষত-চিহ্ন আমার মনে এঁকে দিলে!
বন্ধুত্বের প্রতিদানে
এটাই পেলাম তোমার থেকে!
ক্ষত-চিহ্ন রাখবো যতনে
অবমাননা ,শ্লেষ বচন থাকবে স্মৃতিপটে!
সহ্যসীমা লংঘিত হতে বাকি
যেদিন আমার দেহঃনিশেষ হবে
ব্যাথিত হৃদয় হতে ,
সেদিন হয়তো সর্বাত্মক সুখ
অনাবিল আনন্দে মত্ত হবে তুমি!
দেনা-পাওনার হিসাব || সাবরিনা তাহ্সিন
একজন বই প্রেমিক। তিনি বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। পেশায় তিনি একজন কনটেন্ট রাইটার। ছোটবেলা থেকেই বইয়ের জন্য তার অন্যরকম ভালোলাগা ও ভালোবাসা। লেখালেখি, ছবি আঁকা, রচনা প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে অনেক পুরষ্কার প্রাপ্তি ঘটেছে। কাজের ফাঁকে সময় পেলেই তিনি বই নিয়ে বসে যান, এছাড়াও অনলাইন পত্র-পত্রিকা ,ম্যাগাজিনেও লেখালেখি করা হয়। হুমায়ূন আহমেদ তার প্রিয় লেখক। বই পড়ার পাশাপাশি তিনি কবিতা, ছোট গল্প এবং মনোমুগ্ধকর বইয়ের রিভিউ দিয়ে থাকেন।