আমি গাজাবাসী বলছি

  • জাহিন জাওয়াদ
  • Category: কবিতা
  • Published on: Wednesday, Apr 23, 2025

কীসের কমতি ছিল তোদের?

কেনই বা মারলি মোদের?

ছিল নিজ দেশ, ছিল নিজ ধর্ম,

এসবেরও কি করতে শিখিস নি মর্ম?

হায় ইহুদি, হায় ইসরায়েল

কেন হামলা চালালি মোদের এই দেশে

ও....... তোরা আসলে কুকুরের অধম, আছিস মানুষের বেশে।

 

তোদের কারণে,

যে শিশুর আজ মায়ের সাথে খেলার কথা সে আজ মায়ের লাশ নিয়ে বসে আছে সড়কে,

হে ইহুদী তোদের হুশিয়ারি দিচ্ছি যাবি তোরা একদিন নরকে।

 

বাবা কাঁদছে সন্তানের জন্য, সন্তান কাঁদছে বাবার জন্য ,

এই ইহুদির বাচ্চারাই করল শত মায়ের কোল শূন্য।

চারিদিকে শুধু লাশ আর লাশ, রক্তে মাখামাখি কি করুন দৃশ্য,

কত শিশুকে, কত পরিবারকে করে দিলি তোরা নিঃস্ব।

হায় ইহুদি, হায় ইসরায়েল,

পাচ্ছিস পৈশাচিক আনন্দ, হাসছিস? হাস হাস কত হাসবি হাস ,

একদিন দেখবি শুধু ফিলিস্তিনি নয় হবে পুরো বিশ্বে মুসলমানদের রাজ।

 

মুসলমানের গায়ে গুলি চালালি, মানে আমার ভাইয়ের গায়ে গুলি চালালি,

যেদিন মুসলমানের জয় হবে সেদিন তোরা কই পালাবি?

 

তোদের উপাসনালয় কি ভেঙেছে আমরা? আমাদের আল আকসা মসজিদ যে ভাঙলি,

এই কাজ করে ও নিজেদের অনেক বড় বিপদ ডেকে আনলি।

 

আজ রুদ্ধ মোর শ্বাস ধুলোময় বাতাস,

আজ বিশ্ব মুসলিম জনতার খোঁজে দিন শেষে মোরা হতাশ।

হায় সময় খুবই অল্প,

তছনছ হওয়া এই গাজার মাটিতে বেঁচে আছি খুবই স্বল্প।

আজ যেন ইতিহাসের পাতায় রচিত হলো এক করুণ গল্প।

এই গল্পের নায়ক সমগ্র গাজাবাসী, সাক্ষী পত্রশল্ক।

 

মোরে যেন আজ দেখতে লাগে ধ্বংসস্তূপের মতো,

গাজার বুকে আজ ক্ষত বিক্ষত, আর কত? আর কত ?

কিছু জানোয়ার এলো মোর বুকে রাখল না আর কিছু,

তোরা যে কুকুরেরও অধম, এতটাই তোরা নিচু।

 

একদিন তোদের পতন হবে, পরাজিত হবি তোরা।

সেদিনই তবে প্রাণ খুলে হাসবো যে ভাই মোরা।

পৃথিবীর ইতিহাসে মুসলমানদের বিজয় হয়েছে সর্বজনীন,

আল্লাহ তুমি মুসলমানদের হেফাজত কর সবাই বলুন আমিন।

 

 

 

আমি গাজাবাসী বলছি || জাহিন জাওয়াদ

 

জাহিন জাওয়াদ মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের একজন ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্র। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি বই পড়তে ভালোবাসেন এবং বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে লেখালেখি করেন। তার প্রবন্ধগুলোতে তিনি জীবনের নানা বাস্তবিক চিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। বিশেষ করে, তার সাম্প্রতিক লেখায় তিনি জুলাই মাসের বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন, যা পাঠকদের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলে। লেখালেখির প্রতি তার এই অনুরাগ ভবিষ্যতে আরও সমৃদ্ধ হবে বলে আশা করা যায়।