ভারতে আধুনিক শিক্ষা বিস্তারের সাথে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ব্রিটিশ শাসন নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনে প্রাধান্য পেত মুদ্রা পাচার ও বাণিজ্য। তবুও তারা ভারতীয়দের জন্য ১৭৮১ সালে কলকাতা মাদ্রাসা, ১৭৯১ সালে বারাণসীতে ‘সংস্কৃত কলেজ’ এবং ১৮০০ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারীদের জন্য ‘ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু ‘চার্টার অ্যাক্ট-১৮১৩’ এর মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে ভারতীয়দের শিক্ষার প্রতি মনোযোগী হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ১৮১৩ সালের চার্টার অ্যাক্ট ছিল ভারতীয়দের আধুনিক শিক্ষার মূল ভিত্তি। ১৮১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় হিন্দু কলেজ। এরপর প্রায় দুই দশক কেটে যায় ভারতে শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যম ও পদ্ধতি নিয়ে নানা বিতর্কে। ১৮৩৫ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য লর্ড ম্যাকলের ‘মিনিট অন এডুকেশন’- এ প্রস্তাব রাখা হয় ভারতের শিক্ষা হবে ইংরেজি ভাষায় এবং ইউরোপীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোকে। এর ফলশ্রুতিতে ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড বেন্টিক ‘ইন্ডিয়ান এডুকেশন অ্যাক্ট’ প্রস্তাব করেন। এই অ্যাক্টের পরিপ্রেক্ষিতে এবং ‘জেনারেল কমিটি অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন’ এর প্রস্তাবে সমগ্র বাংলার প্রথম সরকারি স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকায়। প্রতিষ্ঠাকাল ১৫ জুলাই ১৮৩৫ খ্রি.। স্কুলটি পরিচিত ছিল ’ইংলিশ সেমিনারি’ নামে। এই বিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে ঢাকা হয়ে ওঠে আধুনিক শিক্ষা বিস্তারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। পরবর্তী সময়ে ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড অকল্যান্ড ১৮৩৯ সালে শিক্ষা বিষয়ে তার বিখ্যাত Minute উপস্থাপন করেন যার প্রেক্ষিতে ১৮৪০ সালে জেনারেল কমিটি অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন গভর্নর জেনারেলের নিকট ঢাকায় একটি কলেজ স্থাপনের প্রস্তাব করেন। প্রস্তাব অনুমোদিত হয় এবং ১৮৪১ সালের ২০ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ঢাকা সেন্ট্রাল কলেজ’ তথা ঢাকা কলেজ।
No existing sales at this time
No existing deals / offers at this time
No existing coupons at this time
No existing coupons at this time